ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর করার ঘরোয়া ও সায়েন্টিফিক উপায়: কারণ ও প্রতিকার
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ত্বক দেখে হতাশ?
ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস আসলে কী? (সায়েন্সটা সহজ ভাষায়)
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই সমস্যার মূল কারণগুলো
অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও ঘাম: আমাদের দেশে হিউমিডিটি বা আর্দ্রতা অনেক বেশি। এতে ত্বক অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করে। তেল আর ঘাম মিলে লোমকূপ দ্রুত বন্ধ করে দেয়। রাস্তাঘাটের ধুলোবালি: প্রতিদিন যারা বাসে বা রিকশায় যাতায়াত করেন, তাদের ত্বকে ধুলোর আস্তরণ পড়ে। ঠিকমতো ডাবল ক্লিনজিং না করলে এই ধুলো পোরসের গভীরে ঢুকে যায়। ভাজাপোড়া ও ডায়েট: বিকেলে শিঙাড়া, পুরি কিংবা বিরিয়ানি—আমাদের খাদ্যাভ্যাসে তেলের পরিমাণ অনেক বেশি। হাই-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ফুড (চিনি ও ময়দা জাতীয় খাবার) ইনসুলিন লেভেল বাড়িয়ে দেয়, যা সিবাম প্রোডাকশন বাড়ায়। ভুল কসমেটিকস: অনেক সময় আমরা না বুঝেই "ফর্সা হওয়ার ক্রিম" বা ভারী মেকআপ ব্যবহার করি যা 'Comedogenic' (লোমকূপ বন্ধ করে দেয়)।
মিথ বনাম সত্য: যা আমরা ভুল জানি
নিরাপদে এক্সট্রাকশন বা রিমুভ করার পদ্ধতি (Safe Extraction Methods)
১. কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েশন (সেরা পদ্ধতি)
BHA টোনার বা সিরাম: সপ্তাহে ২-৩ দিন রাতে ব্যবহার করুন। এটি ধীরে ধীরে জমানো তেল গলিয়ে দেয়। নিয়াসিনামাইড (Niacinamide): এটি তেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং পোরস ছোট দেখাতে সাহায্য করে।
২. ফিজিক্যাল এক্সট্রাকশন (সাবধানতা অবলম্বন জরুরি)
ধাপ ১ (প্রস্তুতি): প্রথমে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন বা ৫ মিনিট গরম পানির ভাপ (Steam) নিন। এতে পোরসগুলো নরম হবে। ধাপ ২ (জীবানুমুক্তকরণ): এক্সট্রাকশন টুল (Comedone Extractor) ব্যবহার করলে তা অবশ্যই এলকোহল দিয়ে ধুয়ে নিন। হাত দিয়ে করলে নখ বড় রাখা যাবে না। ধাপ ৩ (চাপ প্রয়োগ): টুলের লুপটি ব্ল্যাকহেডসের চারপাশে বসিয়ে হালকা চাপ দিন। যদি সহজে না বের হয়, তবে জোর করবেন না। জোর করলেই ত্বকে গর্ত বা স্কার (Scar) হতে পারে। ধাপ ৪ (পোস্ট কেয়ার): বের করার পর জায়গাটিতে বরফ ঘষুন এবং একটি সুদিং জেল (যেমন: অ্যালোভেরা জেল) লাগান।
ঘরোয়া টোটকা: যা আসলেই কাজ করে
ডাবল ক্লিনজিং (Double Cleansing): রাতে ঘুমানোর আগে প্রথমে একটি অয়েল ক্লিনজার বা মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে মুখ মুছুন। এরপর ফেসওয়াশ দিয়ে ধুন। এটি মেকআপ আর সানস্ক্রিন পুরোপুরি দূর করে। মুলতানি মাটি ও গোলাপ জল: সপ্তাহে একদিন মুলতানি মাটির প্যাক ব্যবহার করলে তা অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। তবে প্যাক পুরোপুরি শুকিয়ে ফাটল ধরার আগেই ধুয়ে ফেলতে হবে। মধু ও দারুচিনি: যাদের ত্বক সেনসিটিভ নয়, তারা খাঁটি মধুর সাথে এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নাকে লাগাতে পারেন। মধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ আছে।
উপসংহার
“TrustShopBD (
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *




.webp)
 (1080 x 1080 px).webp)
.webp)
.webp)
.webp)